সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকা চান

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।'
 

'মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে হোটেল লোটে প্যালেস নিউইয়র্ক মিটিং রুমে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭ তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআরের তৎপরতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। জবাবে গ্রান্ডি বলেছেন, তিনি শিগগিরই মিয়ানমার সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব।ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনারও এ বিষয়ে তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশে কক্সবাজার ও ভাষানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি। তারা বাংলাদেশ ও আইসিসির মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী আইসিসির প্রসিকিউটরকে আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশ মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসিতে চলমান সব প্রচেষ্টার সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।'


'বৈঠকে খান আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া জাতিসংঘের বাসস্থানবিষয়ক নির্বাহী পরিচালক মায়মুনাহ মোহাম্মদ শরীফও এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকা চান

সাক্ষাতে তারা টেকসই নগরায়নের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।' -বাসস 

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত